নতুন বছরে প্রথম পা রাখার আনন্দে মাতল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। ঘড়ির কাঁটা ধরে ধিরে ধিরে সেই উত্তাপ সঞ্চারিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয় অকল্যান্ডে। আলোয়, আতসবাজিতে সেজে হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী। আলোকমালায় নতুন বছরকে স্বাগত জানান অকল্যান্ডবাসী।
২০১১ চৌকাঠ পেরিয়ে এবার ২০১২ দোরগোড়ায় পা রাখা মাত্রই বর্ষবরণ উত্সবে মাতল বিশ্ববাসী। অবশ্য তার আগে থেকেই বিশ্বের আনাচে কানাচে এখন জোরকদমে শুরু হয়েছিল শেষমূহুর্তের প্রস্তুতি। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য মার্কিন মুলুকে আবেগের প্রাবল্য নজরকাড়া। আর এক্ষেত্রে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু নিউ ইয়র্কের টাইমস্ স্ক্যোয়ার। প্রতিবারই নতুন ভাবনায় সেজে ওঠে টাইমস্ স্কোয়ারের ক্রিস্টাল বল। ২০১১ স্ফটিকে ছিল সম্প্রীতির হাতছানি। ২০১২ ভরসা বন্ধুত্বের।---থিমে---- let there be friendship। এই ভাবনা থেকেই বর্ষ শেষে ঠিক রাত ১২টায় নতুন সাজে এলইডির আলোয় ঝলমলিয়ে উঠবে বৃত্তের ২৬৮৮টি ওয়াটারফোর্ড ক্রিস্টাল। ১০ লক্ষ দর্শককে মাতিয়ে তুলতে বর্ষবরণ উত্সবে রয়েছে জাসটিন বিইবার এবং লেডি গাগার জমাটি পারফরম্যান্সও।
প্রতিবারের মতোই এবারেও উপস্থিতি দর্শকদের চাঙ্গা করে তুলতে ওড়ানো হবে এক টন কনফেটিও। বছর শেষে পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নয়ার লক্ষ্যে পাড়ি জমানোর অনবদ্য স্পিরিটটাকে, যেন কুচি কুচি কাগজেই ধরতে চান আয়োজকরা।
উত্তরে যদি হয় নিউ ইর্য়ক, তবে বর্ষবরণ উত্সবে লাতিন আমেরিকার নজর ছিল ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতেও। কোপাকাবানায় ইতিমধ্যেই মানুষের ঢল। পর্যটকদের ভিড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমসিম অবস্থা স্থানীয় পুলিস প্রশাসনের। পর্যটক সুরক্ষার প্রসঙ্গে অতীতে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে ব্রাজিল। তবে এবার লিমের বস্তি এলাকায় চব্বিশ ঘন্টার পুলিসি পাহারা থাকায় পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল। উত্সবের স্বাদটুকু চেটেপুটে নিতে প্রায় ২০ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমিয়েছিলেন রিও ডি জেনেরিওতে।
উচ্ছ্বাসের প্রাবল্য আর আবেগের বহিঃপ্রকাশে কোনও ভাবেই পিছিয়ে ছিল না ভারতও। আর বর্ষবরণের উত্বাপ চেটেপুটে উপভোগ করার ক্ষেত্রে একদা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর কলকাতাই ছিল পয়লা নম্বরে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আলোকজ্জ্বল পার্ক স্ট্রিটে জড়ো হওয়া জনপ্লাবন যেন ছাপিয়ে গিয়েছিল অষ্টমীর মধ্যরাতকেও।
0 comments:
Post a Comment